দেশের নামঃ- ইসরায়েল
রাজধানীঃ- জেরুসালেম
সরকারঃ- সংসদীয় গণতন্ত্র
রাষ্ট্রপতিঃ- রিউভেন রিভলিন
প্রধানমন্ত্রীঃ- বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
আইন-সভাঃ- নেসেট
আয়োতনঃ- ২২,০৭২ বর্গকিলোমিটার (১৫০ তম)
জনসংখ্যাঃ- ৯,১৮৪,৫০০ (৯৯তম)
মাথাপিছু আয়ঃ- $৪০,৩৩৬ (৩৪ তম )
মুদ্রাঃ ইসরায়েলি শেকেল ( ১ শেকেল = ২৪ টাকা প্রায় )
রাষ্ট্র ভাষাঃ- ২ টি (হিব্রু ও আরবী)
জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম একটি দেশ কিভাবে গোটা বিশ্বব্যবস্থায় নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে তার বড় উদাহরণ ইসরাইল। অথচ বিভিন্ন সময় নৈতিক বিকৃতির কারণে তাদের নিজ মাতৃভূমি থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন রাষ্ট্রে। বছরের পর বছর নির্বাসনে কাটানোর পরও কোথাও তারা ‘মাটির সন্তান’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেনি। এর কারণ ছিল তাদের অবিশ্বস্ততা, নীতিভ্রষ্টতা এবং অশান্তি সৃষ্টিকারী আচরণ। ইসরাইলি তথা ইহুদিদের এটা অবিচ্ছেদ্য প্রতিকৃতি। পৃথিবীতে এটিই একমাত্র জাতি যারা তিন হাজার বছর ধরে একই নাম, একই ভাষা এবং একই স্রষ্টায় বিশ্বাস করে আসছে, আর আজ এই ইহুদিদের ধ্বংসাত্মক আচরণের কারণে পুরো পৃথিবীতে বইছে অশান্তির দাবানল।
ইহুদিরা কেন এত শক্তিশালী?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বিশেষ করে পররাষ্ট্রনীতিতে ইহুদি লবি অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে বলে ধারণা করা হয়। ইহুদি লবির প্রধান কাজ হচ্ছে ইসরাইলের তথা ইহুদিদের সর্বাধিক স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করা। ইসরাইল বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পাশ্চাত্য শক্তির প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা ইসরাইলের পক্ষে এ পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না বলেও অনেকে মনে করে।
ইসরাইলকে বেষ্টন করে আছে ২১টি আরব দেশ, যার অনেকে এর অস্তিত্ব স্বীকার করে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইহুদিদের বলা হয় সবচেয়ে শক্তিশালী জনগোষ্ঠী। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ভোট ব্যাংকের বড় অংশ ইহুদিরা। যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার ২.৩ শতাংশ অর্থাৎ ছয় থেকে সাত মিলিয়ন ইহুদি, যারা মোট সম্পদের ৫০ শতাংশের মালিক। এই জনসংখ্যার ৮৯ শতাংশ বাস করে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে, যাদের বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ স্টেটস। উল্লেখ্য, ইহুদিদের ভোট সব সময় এক দিকে যায়। যারা তাদের জন্য কাজ করবে তাদের ভোট দেয়। তাই সহজেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করতে পারে তাদের পছন্দমতো প্রেসিডেন্টকে। আবার এমনও দেখা যায়, যারা ইহুদি নয় কিন্তু ইহুদিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাদের সংখ্যা ধরলে ইহুদিরাই সবচেয়ে বড় ভোট ব্যাংক। এটা হলো অনানুষ্ঠানিক ইহুদি লবি, যা আনুষ্ঠানিক ইহুদি লবির অতিরিক্ত।
১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত দি আমেরিকা-ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের আনুষ্ঠানিক লবি হিসেবে কাজ করে থাকে। ইহুদিদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সংগঠনটি মার্কিন কংগ্রেস ব্যবহার করে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেন। ফলে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিরোধিতা করলেও অনেক সময় তেমন কোনো কাজ হয় না। বর্তমানে আমেরিকার বিদেশনীতি উপরি উক্ত সংগঠনের দ্বারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ আছে। বিশেষ করে ইসরাইলের প্রসঙ্গ এলেই সংগঠনটির তৎপরতা বেড়ে যায়। এর বার্ষিক বাজেট ১৩ মিলিয়ন ডলারের মতো। ইহুদি লবির প্রত্যক্ষ প্রভাবের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অব্যাহতভাবে ইসরাইলকে অন্ধ সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
এত সব রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও আরো কিছু দিক দিয়ে তারা প্রভাবশালী। পৃথিবীতে এক কোটি ৪০ লাখ ইহুদি। এর মধ্যে ৭০ লাখ আমেরিকায়, ৫০ লাখ এশিয়ায়, ২০ লাখ ইউরোপে এবং এক লাখ আফ্রিকায়। পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১ঃ১০০। অর্থাৎ একজন ইহুদির বিপরীতে এক শ’ জন মুসলিম। এর পরও মুসলিমদের চেয়ে কয়েক শ’ গুণ ক্ষমতাবান ইহুদিরা। এর কারণ হিসেবে বলা যায় সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সব দিক দিয়েই ইহুদিরা এগিয়ে।
• টাইমস ম্যাগাজিনের জরিপে গত শতাব্দীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব এবং বিজ্ঞানী হলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। যিনি একজন ইহুদি।
• সিগমন ফ্রেইড মনোবিজ্ঞানের জনক। তিনিও একজন ইহুদি।
• এ ছাড়া আছে অনেক স্বনামধন্য ইহুদি বিজ্ঞানী। যারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশাল অবদান রেখেছে। বেনজামিন রুবিন (টিকার সুই), জোনাস স্যাক (প্রথম পোলিও টিকা), অ্যালার্ট সেবিন (রক্তস্বল্পতার প্রতিষেধক), বারুচ ব্লামবার্গ (হেপাটাইটিস-বি)। এ ছাড়া আছেন কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন, মিল্টন ফ্রেইডম্যান, পল এহব্লিচ এবং আরো অনেকে।
নোবেল প্রাইজের দিক দিয়েও এগিয়ে আছে ইহুদিরা।
• এলি মেচনিকোফ নোবেল প্রাইজ পান সংক্রামক জীবাণু আবিষ্কার করে।
• স্ট্যানলি কোহেন নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন ভ্রণবিদ্যায়।
• এ ছাড়া যারা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন তারা হলেন বার্নার্ড কাটজ, অ্যান্ড্রু স্ক্যালি, অ্যারোন বিক, জর্জ পিনকাস, জর্জ ওয়াল্ড ও উইলিয়াম কোল্ফ প্রমুখ।
• ১০৫ বছরে এক কোটি ৪০ লাখ ইহুদির মধ্যে ১৫ ডজন নোবেল প্রাইজ পেয়েছে আর মুসলমানরা পেয়েছে মাত্রই তিনটি (শান্তি পুরস্কার ছাড়া)।
চিকিৎসাবিজ্ঞান ছাড়াও পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত বিনিয়োগকারীরাও ইহুদি। যারা বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মালিক। এর মধ্যে আছে
• রালফ লরেন (পোলো),
• লিভাইস স্ট্রস (লিভাইস জিনস),
• হাওয়ার্ড স্কোল্টজ (স্টার বাকস),
• সারজি ব্রিন (গুগল),
• মাইকেল ডেল (ডেল কম্পিউটার),
• লেরি ইলিসন (ওরাকল),
• ইড রবিনসন (বার্সকিন অ্যান্ড রবিনসন),
• বিল রোজেনবার্গ (ডোনকিন ডোনাটস) এবং আরো অনেকে।
এ ছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদগুলোও দখল করে আছে ইহুদিরা -
• রিচার্ড লেবিন (ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট),
• হেনরি কিসিঞ্জার (আমেরিকার মন্ত্রিসভার সদস্য),
• ক্যাসপার ওয়েনবার্গ (আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী),
• ম্যাক্সিন লিটভিনোভ (সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী),
• ডেভিন মার্শাল (সিঙ্গাপুরের প্রথম চিফ মিনিস্টার),
• ইয়েভগিনি প্রিমাকভ (রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী),
• জর্জ স্যামপেইও (পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট),
• জন ডিউচ (সিআইএ’র পরিচালক), ও
• পিয়েরি মেন্ডেস (ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী) প্রমুখ।
মিডিয়াতেও ছড়িয়ে আছে ইহুদিরা। বিভিন্ন জনপ্রিয় পত্রিকা, স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেলগুলোর উচ্চপদে আসীন আছেন তারা
• উলফ ব্লিটজার (সিএনএন),
• বারবারা ওয়াল্টার (এবিসি নিউজ),
• ইউগেনা মেয়ার (ওয়াশিংটন পোস্ট),
• হেনরি গ্রুনওয়াল্ড (টাইম ম্যাগাজিনের চিফ এডিটর),
• ক্যাথেরিন গ্রাহাম (ওয়াশিংটন পোস্টের এডিটর),
• জোসেফ লিলিয়েল্ড (নিউইয়র্ক টাইমসের এক্সিকিউটিভ এডিটর),
• ম্যাক্স ফ্রাংকেন (নিউইয়র্ক টাইমস)।
বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিক দিয়েও এগিয়ে ইহুদিরা। এদের মধ্যে আছেন
• স্ট্যানলি মেজোর। যিনি প্রথম ‘মাইক্রো প্রসেসর চিপ’ আবিষ্কার করেন।
• লিও জিলার্ড (নিউকিয়ার চেইন রিঅ্যাক্টর),
• পিটার স্কোল্টজ (অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল),
• চার্লস এলডার (ট্রাফিক লাইট),
• বেননো স্ট্রাস (স্টেইনলেস স্টিল),
• ইমিল বার্লিনার (টেলিফোন মাইক্রোফোন) ও
• চার্লস জিনসবার্গ (ভিডিও টেপ রেকর্ডার)।
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাতাদের তালিকায় প্রথমে আছেন একজন ইহুদি -
• জর্জ সোরোস। তিনি চার বিলিয়ন ডলার দান করেন যা ব্যয় হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজে।
• দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ওয়াল্টার এনেনবার্গ। তিনিও একজন ইহুদি। তিনি দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করেছেন, যা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এক শ’ পাঠাগার।
• এ দাতাদের তালিকায় আরো আছেন স্পিট, ক্রজেলবার্গ ও বোরিস বেকার।
ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী
ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) তিনটি মিলিটারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত। সংস্থাগুলো হচ্ছে গ্রাউন্ড ফোর্সেস, এয়ার ফোর্স ও নেভি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সশস্ত্র বাহিনীতে বেসামরিক লোক নিয়োগ দেয়া হলেও ইসরাইল এ ক্ষেত্রে ভিন্ন। ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী সে দেশের সামরিক ব্যক্তিত্বরা পরিচালনা করে। এই বাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। অবশ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনেক বেসামরিক লোককে পদস্থ কর্মকর্তা করা হয়। অফিসিয়ালি ইসরাইল সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালের ২৬ মে কেবিনেটের সিদ্ধান্তক্রমে। এ জন্য লিখিত আদেশ দেয় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় বাধ্যতামূলকভাবে অনেক ইহুদিকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়াও ইহুদিদের তিনটি গোপন সংগঠন হাগানা, ইরগান ও লেহির সদস্যদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী গঠন করা হয়। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা আর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেকগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয় এই বাহিনীকে।
ইসরাইল বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্র ও কম্পিউটার পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটি বিশ্বের সব দেশই কমবেশি অবগত। আইডিএফ’র মানব বিধ্বংসী অস্ত্র বিশ্বের যেকোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করার মতো। এসব অস্ত্রের কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। তবে যুক্তরাষ্ট্র যা তৈরি করে তা কোনো না কোনোভাবে ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
ইসরাইল পারমাণবিক বোমার এখনো কোনো পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ করেনি। কতটি বোমা আছে তাও দেশটি প্রকাশ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির নিয়ন্ত্রণে ৭৫ থেকে ২০০ পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে। কেউ কেউ এই সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছে। অবশ্য আইডিএফ সবসময় বলে আসছে তারা পারমাণবিক গবেষণা বন্ধ করে দিয়েছে।
আইডিএফ’র লক্ষ্য ইসরাইলের অস্তিত্ব, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা। এ জন্য কয়েকটি বিষয়ে তারা কোনো ছাড় দেয় না। আইডিএফ কোনো ছোট যুদ্ধেও হারতে রাজি নয়। নিজ এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয় আইডিএফ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
• বর্তমান ইসরাইলের প্রতি ৩ জনের এক জন কোনো না কোনো ভাবে একটি স্টার্টআপ এর মালিক।
• ইসরাইলের প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে ১২০ জন প্রফেশনাল সায়েন্টিস্ট।
• সারা পৃথিবীতে ইসরাইল ই একমাত্র দেশ যাদের ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই মিলিটারি ট্রেনিং বাধ্যতামূলক।
• মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের চারপাশে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই, সব মুসলিম কান্ট্রি।
• বাংলাদেশ, পাকিস্তান মালয়শিয়ার মত দেশ গুলো এখনো ইসরাইল কে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
• বিশ্বের সব চেয়ে তুখোর ও ভয়ংকর গোয়েন্দা সংস্থা এই ইসরাইলের “মোসাদ”। আজ পর্যন্ত তাদের কোনো অপারেশন ই ব্যর্থ হয়নি। বলা হয় ইসরাইলের আজ এত দূর আসার পেছনে মোসাদের বিশাল অবদান।
• ইসরাইলের মোট আয়ের ৮১ শতাংশই আসে বিভিন্ন রকমের সার্ভিস বিক্রি করে।
• মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সিলিকন ভ্যালি এই ইসরাইলে। গুগল, এমাজন, আইবিএম, মাইক্রোসফট ফেসবুকের মত বড় বড় প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে এখানে।
• এসব বড় কোম্পানিকে ইসরাইলে বিয়িয়োগ করার জন্য তারা দুবাইয়ের মত ট্যাক্স ফ্রি জোন খুলেছে।
• ইসরাইলে স্টার্ট আপ গুলোর পেছনে প্রচূর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনো স্টার্ট আপ বিনিয়োগ না পেলে ইসরাইল সরকার নিজে সেখানে বিনিয়োগ করে এবং স্টার্ট আপ টি সফল হলে সরকার শুধুমাত্র বিনিয়োগের একটা অংশ নেয়। এর মূল কারণ বাইরের বিনিয়োগ যদি ইসরাইলের অর্থনীতি তে ঢোকে তাহলে তা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
• প্রচূর স্টার্ট আপ এর কারণে তাদের চাকরির বাজারে বেকারত্বের হার নেই বললেই চলে।
• আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন অনেক কিছুই ব্যবহার করি যেগুলোর ইনোভেশন হয়েছে ইসরাইলে। যেমন ঃ কম্পিউটার এন্টিভাইরাস, VoIP (ভয়েস ওভার প্রোটোকল), ভয়েস মেইল, ইউএসবি পোর্ট, ইউএসবি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন
• ইনোভেশনের পেছনে ইসরাইল প্রচূর অর্থ ব্যয় করে, গঠন করেছে – ইসরাইল ইনোভেশন অথরিটি।
• বর্তমানে আইবিএম এর সবচেয়ে বড় হার্ড ওয়্যার তৈরীকারী দেশ হচ্ছে ইসরাইল।
কিছু অজানা তথ্যঃ
• নোবেল বিজয়ী জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিনিধন বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন৷ ইসরাইল তার কথা শুধু কৃতজ্ঞচিত্তে মনেই রাখেনি, তাকে সম্মানও জানাতে চেয়েছিল প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে৷ ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আইনস্টাইন৷
• ইসরাইলের মানুষ সত্যি সত্যিই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রচুর চিঠি লিখে৷ প্রতি বছর জেরুসালেমের ডাক বিভাগ এমন অন্তত হাজার খানেক চিঠি পায় যেখানে প্রাপকের জায়গায় লেখা থাকে ‘ঈশ্বর’!
• ইতিহাস বলছে, ইসরাইলের রাজধানী জেরুসালেমে এ পর্যন্ত ২৩ বার ভয়াবহ আগুন লেগেছে আর বহিঃশক্তির আক্রমণের শিকার হয়েছে ৫২ বার৷ জেরুসলেম দখল এবং পুনরুদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে ৪৪ বার৷
• ইসরাইলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ মুদ্রা৷ ‘ব্রেইল’-এর মতো বর্ণের সহায়তায় কাগুজে নোটগুলোতে লেখা থাকে বলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কেনাকাটা বা মুদ্রা বিনিময়ে কোনো অসুবিধা হয় না৷ সারা বিশ্বে ইসরাইল ছাড়া ক্যানাডা, মেক্সিকো, ভারত আর রাশিয়াতেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই বিষেষ ব্যবস্থা রয়েছে৷
• ইসরাইল দেশটি পৃথিবীর সর্বনিম্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এর প্রমাণ পাওয়া যায় “মৃত সাগর” বা “ডেড সি” এর মাধ্যমে, যা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৩১৫ ফুট নিচে অবস্থিত।
• বর্তমানে আমরা যে স্মার্টফোন ইউজ করি তার প্রধান সেল ফোন প্রযুক্তি তৈরী করেন মটোরোলা ইসরাইল আর এন্ড ডি সেন্টার।
• ইসরাইলের প্রাচীন ভূমিতে রয়েছে হাজার হাজার প্রত্নতাত্বিক স্থান। তাই বিশের যে কোনো দেশের তুলনায় ইসরাইলে মাথা পিছু জাদুঘরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।
• ইসরাইলের সব বাস স্টপে আপনি “tzedakah” অর্থাৎ দাতব্য দানের জন্য বাক্স পাওয়া যায়।
• উইন্ডোজ এন্টি অপারেটিং সিস্টেম এর বেশীর ভাগই মাইক্রোসফট ( ইসরাইল ) দ্বারা তৈরী।
** ইসরাইলের কাছ থেকে সব চেয়ে বেশী সামরিক অস্ত্র ক্রয়কারী দেশ ভারত।
তথ্যসূত্র -
লেখক -
রিদওয়ান অনিন্দ্য
Comments
Post a Comment