Skip to main content
শারদীয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন , করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকুন , সুস্থ থাকুন -------- STAY HOME STAY SAFE protect your family

জেলা - দিনাজপুর




জেলা - দিনাজপুর

বিভাগ - রংপুর

আয়তন - ৩৪৪.৩০ বর্গ কিঃমি 

জনসংখ্যা - ৩১,০৯,৬২৮

সাক্ষরতার হার - ৮৫.%

মোট সংসদীয় আসন - টি

পোস্ট কোড - ০৫৩১

প্রতিষ্ঠা - ১৭৮৬

স্থানাঙ্ক - ২৫°৩৭৪৮উত্তর ৮৮°৩৯পূর্ব / ২৫.৬৩০০০° উত্তর ৮৮.৬৫০০০° পূর্ব



দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম প্রাচীন বৃহৎ জেলা। দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম। এই অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে ভারতীয় প্লেটের অংশ যা আদি জুরাসিক যুগে সৃষ্টি হওয়া গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অংশ ছিল।


প্রাচীনকালে অবস্থান সীমানা

প্রাচীন যুগ

দিনাজপুর একসময়ে পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ ছিল। লক্ষ্ণৌতির রাজধানী দেবকোটের অবস্থান ছিল দিনাজপুর সদরের ১১ মাইল দক্ষিণে।

সম্প্রতি ঘোড়াঘাট উপজেলার সুর মসজিদের পাশের পুকুর থেকে গুপ্ত যুগের একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে।


ব্রিটিশ শাসন

১৭৬৫ সালে দেওয়ানি গ্রহণের ফলে দিনাজপুর জেলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণভুক্ত হয়। ১৭৭২ সালে দিনাজপুরে একজন ইংরেজ কালেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই সময় এই অঞ্চলের অরাজকতার কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৭৮৬ সালে এখানে ইংরেজ শাসকদের “The British Administrative Control” গঠিত হয়। সেই সময় লক্ষ্ণৌতি, বাজিন্নাতাবাদ, তেজপুর, পানজারা, ঘোড়াঘাট, বারবকাবাদ বাজুহা, এই ছয়টি সরকারের অংশ নিয়ে দিনাজপুর জেলা (তখনকার ঘোড়াঘাট জেলা) গঠিত হয়। দিনাজপুর সদরে জেলা সদর গঠিত হয়।

১৭৮৬ সালে ম্যারিয়ট নামে একজনকে কালেকটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পর রেড ফার্ণ ভ্যানসিটার্ট অল্প সময়ের জন্য দিনাজপুরের কালেকটর নিযুক্ত হন। পরবর্তী কালেকটর হ্যাচ জেলার বিচারের কাজেও নিযুক্ত হন। সেই সময় জেলা প্রশাসনের সীমানা মালদা বগুড়ার দিকে অগ্রসর হয়। আঠারো শতকের শেষ দিকে দিনাজপুরে নীল চাষ শুরু হয়।

দিনাজপুর ছিল অবিভক্ত বাংলার সর্ববৃহৎ জেলা।

বগুড়া , মালদা , রাজশাহী , রংপুর পূর্ণিয়া জেলার বেশকিছু অংশ তখন দিনাজপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৫৭- ৬১ সালের জরিপ অনুসারে দিনাজপুর জেলার আয়তন ছিল ,৫৮৬ বর্গমাইল (১১,৮৮০ কিমি) প্রশাসনিক আইন প্রয়োগের সুবিধার্থে ১৭৯৫ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে জেলার একটি বিশাল অংশ রাজশাহী , রংপুর পূর্ণিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৩৩ সালে আবার বেশ কিছু এলাকা বগুড়া মালদায় চলে যায়। পরবর্তীতে ১৮৬৪- ৬৫, ১৮৬৮ ১৮৭০ সালে আরো এলাকা মালদা বগুড়া জেলার অধীনে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষে ১৮৯৭- ৯৮ সালে সম্পূর্ণ মহাদেবপুর থানাকে রাজশাহীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই সময় শুধু ঠাকুরগাঁও উপবিভাগ ব্যতীত সম্পূর্ণ দিনাজপুর জেলা কালেকটরের অধীনে শাসিত হতো।


১৮৫৬ সালে দিনাজপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলার প্রথম দিককার ৪০টি পৌরসভার মধ্যে এটি অন্যতম। শুরুতে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টাউন কমিটি পৌরসভা শাসন করত। পরবর্তীতে ১৮৬৮ সালে 'জেলা শহর আইন'- ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের বদলে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার বিধান রাখা হয় এবং চেয়ারম্যানকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সমমর্যাদায় আসীন করা হয়। ১৮৬৯ সালে প্যাটারসন নামক একজনকে দিনাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।

১৯৪৬- ৪৭ সালের তেভাগা আন্দোলনে দিনাজপুর জেলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।


সাম্প্রতিক ইতিহাস

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে দিনাজপুরের একটি বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গে চলে যায় এবং তার নাম হয় পশ্চিম দিনাজপুর জেলা। ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরের দুটি মহকুমা ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় পৃথক জেলায় পরিণত হয়।


মুক্তিযুদ্ধে অবদান

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দিনাজপুর নং সেক্টরের অধীনে ছিল। নং সেক্টরের আওতায় ছিল দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুরের দক্ষিণাঞ্চল ছিল নং সেক্টরের আওতায়। ২৯ মার্চ ফুলবাড়ী উপজেলার দিনাজপুর রোডে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি, গোলাবারুদ, অস্ত্রশস্ত্রসহ বহু রসদপত্র দখল করে। এপ্রিল পার্বতীপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, বাগবাড়ী পেয়াদাপাড়ায় পাকবাহিনী প্রায় ৩০০ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ১৯ এপ্রিল পাকবাহিনী হাকিমপুর উপজেলার হিলি আক্রমণ করে। হাকিমপুর ছাতনীতে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বিরামপুর উপজেলার কেটরা হাটে মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর লড়াইয়ে জন পাকসেনা নিহত এবং ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২০ জুলাই পাকসেনারা নবাবগঞ্জ উপজেলার খয়েরগনি গ্রামে ২১ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা ১০ অক্টোবর নবাবগঞ্জ উপজেলার চড়ারহাটে ১৫৭ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। ১৩ নভেম্বর পাকবাহিনী বিরল উপজেলার বিজোড় ইউনিয়নের বহলায় ৩৭ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। ২১ নভেম্বর-১১ ডিসেম্বর হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে প্রায় ৩৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বীরগঞ্জ উপজেলার ভাতগাঁও ব্রিজের পূর্বপাড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে প্রায় ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং পাকবাহিনীর দুটি ট্যাংক ধ্বংস হয়। লড়াইয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ডিসেম্বর সাধারন জনগণ বিরামপুর উপজেলার বেপারীটোলায় একটি জীপ আক্রমণ করে কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করে। ১৫ ডিসেম্বর বগুলাখারীতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়াও বিরল উপজেলার বহবল দীঘিতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে প্রায় ১০০ জন পাকসেনা নিহত হয়। কাহারোল উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১০ জন পাকসেনা জন নিরীহ বাঙালি নিহত হয়।[] মুক্তিযুদ্ধের পর দিনাজপুরে ৪টি বধ্যভূমি ৭টি গণকবর আবিষ্কৃত হয়। শহীদদের স্মরণে দিনাজপুর জেলায় মোট ৫টি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠা নামকরণ

দিনাজপুর জেলা ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জনশ্রুতি আছে, জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়িতে(রাজবাটী) অবস্থিত মৌজার নাম হয় "দিনাজপুর" পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে "দিনাজপুর"

ভৌগোলিক সীমানা

দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও,

পঞ্চগড় নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে

জয়পুরহাট জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ , পূর্বে রংপুর নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের

উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয় অবস্থিত। এই জেলার মোট আয়তন প্রায় ৩৪৩৮ বর্গ কিলোমিটার।


শিক্ষা

দিনাজপুর জেলার শিক্ষার গড় হার ৪৫.% পুরুষদের মধ্যে এই হার ৫১% এবং মহিলাদের মধ্যে ৪০% দিনাজপুরে ১৭১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি কমিউনিটি বিদ্যালয়, ২৯টি এনজিও স্কুল, ১০টি কিন্ডারগার্টেন, ৩৫১টি মাদ্রাসা, ৬১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১৮টি কলেজ, ১টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ১টি ভেটেরিনারি কলেজ ১০টি ভোকেশনাল অন্যান্য কেন্দ্র এবং ১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।


সাক্ষরতার আন্দোলন

দিনাজপুরে আলোর দিশারী নামে একটি সাক্ষরতার আন্দোলন চালু আছে।


আবহাওয়া জলবায়ু

দিনাজপুরের জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র উষ্ণভাবাপন্ন জলবায়ুতে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের প্রভাব স্পষ্ট। দিনাজপুর

তীব্র শীতের জন্য পরিচিত হলেও, গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। দিনাজপুরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াস। মাসিক গড় তাপমাত্রা জানুয়ারিতে ১৮° সেলসিয়াস থেকে আগস্টে ২৯° সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। বার্ষিক বৃষ্টিপাত গড়ে ,৫৩৬ মিলিমিটার।


প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য

দিনাজপুর জাদুঘর

দিনাজপুরের মহারাজার বিভিন্ন নিদর্শনের স্মারকবাহী একটি জাদুঘর। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাচীন নিদর্শনের সংগ্রহশালা। এছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিক জায়গাগুলো হল-

  • অরুণ ধাপ
  • বার পাইকের গড়
  • ঘোড়াঘাট দুর্গ
  • প্রাচীন বিষ্ণু মন্দির, কাহারোল
  • কালিয়া জীউ মন্দির


রামসাগর

রামসাগর দিনাজপুর জেলার তাজপুর গ্রামে অবস্থিত মানবসৃষ্ট দিঘি। এটি বাংলাদেশে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় দিঘি। তটভূমিসহ রামসাগরের আয়তন ,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ,০৩১ মিটার প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার।

ঐতিহাসিকদের মতে, দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ (রাজত্বকাল: ১৭২২-১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ) পলাশীর যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে) এই রামসাগর দিঘি খনন করেছিলেন।


লোকসংস্কৃতি

লোকসংগীত

দিনাজপুরে মূলত ভাওয়াইয়া, কীর্তন ,পাঁচালি , মেয়েলি গীত , গোরক্ষনাথের গান , চড়কের গান , বাউল গান , প্রবাদ-প্রবচন, ছড়া , ছিলকা, হেয়ালি, ধাঁধা, জারিগান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচিত।

দিনাজপুরের মাটি লিচু উৎপাদনের জন্য খুবই উপযুক্ত। লিচু ছাড়াও দিনাজপুর জেলা ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। দিনাজপুরের কাটারিভোগ কালিজিরা ধান দেশে-বিদেশে সমাদৃত। দিনাজপুরকে নিয়ে একটি বাংলা প্রবাদ রয়েছে-

গোলা ভরা ধান 
গোয়াল ভরা গরু 
পুকুর ভরা মাছ 

দিনাজপুরের প্রধান শস্য হলো ধান। সমগ্র বাংলাদেশের চালের চাহিদার একটি বড় অংশ আসে দিনাজপুর থেকে। এছাড়াও দিনাজপুরে প্রচুর গম , ভুট্টা , আলু, বেগুন টমেটো - উৎপাদিত হয়। ফলের মধ্যে লিচু , আম , কলা , কাঁঠাল জাম উৎপাদিত হয়। দিনাজপুরের আম লিচু উৎকৃষ্ট মানের। এছাড়া দিনাজপুর জেলার মাশিমপুরের বেদেনা লিচু বিশ্ববিখ্যাত। বর্তমানে লিচু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।


শিল্প বাণিজ্য

অর্থনীতির প্রধান উৎস কৃষি হওয়ায় দিনাজপুর জেলায় গড়ে ওঠা শিল্পকারখানাগুলোর অধিকাংশই কৃষিভিত্তিক। দিনাজপুর জেলার শিল্পকারখানার মধ্যে সেতাবগঞ্জ চিনি কল লিমিটেড , দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড অন্যতম। ধান দিনাজপুরের প্রধান শস্য হওয়ায় এখানে প্রায় ১০০টির মতো স্বয়ংক্রিয়, আধা-স্বয়ংক্রিয় চালকল অসংখ্য চাতাল-নির্ভর (হাস্কিং) চালকল রয়েছে। এছাড়া বিরলে একটি পাটকল রয়েছে। বিরামপুর উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছিল বাংলাদেশের সর্বপ্রথম তেল শোধনাগার। বর্তমানে তা অব্যবহৃত অবস্থায় আছে।


খনিজ সম্পদ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি

প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে দিনাজপুরে রয়েছে পিট- কয়লার খনি। বাংলাদেশেন আবিষ্কৃত পাঁচটি কয়লাখনির মধ্যে তিনটির অবস্থান দিনাজপুরে- বড়পুকুরিয়া , ফুলবাড়ী দিঘীপাড়া। বর্তমানে শুধু বড়পুকুরিয়ায় মাটির নিচ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০০ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। ২০০৬ সালে ফুলবাড়ীতে কয়লাখনি স্থাপনের কাজ স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বন্ধ হয়ে যায়। বড়পুকুরিয়ায় উৎপাদিত কয়লা ব্যবহার করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সাম্প্রতিককালে হাকিমপুরে লৌহ খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। হাকিমপুরের ইসবপুর গ্রামে প্রায় ছয় বছর ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে ২০১৯ সালে এটি আবিষ্কার করা হয়। খনিতে লোহার পাশাপাশি ক্রোমিয়াম, নিকেল উপস্থিতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এমনকি খনিটিতে স্বর্ণও পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।


চিত্তাকর্ষক স্থান

  • কান্তজীর মন্দির
  • রামসাগর
  • আওকরা মসজিদ,
  • আনন্দ সাগর,
  • কান্তজীর মন্দির ,
  • কালিয়া জীউ মন্দির ,
  • কোরাই বিল,
  • গৌরগোবিন্দ,
  • ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি ,
  • চেহেলগাজী মাজার,
  • জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন,
  • দিনাজপুর ঈদগাহ ময়দান ,
  • দিনাজপুর জাদুঘর,
  • দিনাজপুর জিলা স্কুল ,
  • দিনাজপুর রাজবাড়ি ,
  • নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান ,
  • নয়াবাদ মসজিদ ,
  • নওপাড়া আদর্শ গ্রাম,
  • পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন ,
  • বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ,
  • বারদুয়ারি,
  • বিরামপুর জমিদার বাড়ি ,
  • মাতাসাগর,
  • মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর ,
  • রখুনি কান্ত জমিদার বাড়ি ,
  • রামসাগর ,
  • রামসাগর জাতীয় উদ্যান ,
  • রুদ্রপুর দীপশিখা বিদ্যালয়,
  • সিংহ দরওয়াজা,
  • সিংড়া জঙ্গল,
  • সীতা কুঠুরী,
  • সীতাকোট বিহার ,
  • সীমান্ত শিখা ক্লাব, হাকিমপুর,
  • সুখসাগর,
  • স্বপ্নপুরী ,
  • হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
  • হাবড়া জমিদার বাড়ি,
  • হিলি স্থলবন্দর



তথ্যসূত্র-
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/দিনাজপুর_জেলা



-  ঋতিকা মোহান্ত
   ৩য় ব্যাচ, আইন ভূমি প্রশাসন বিভাগ

Comments