জেলা - বরিশাল
বিভাগ - বরিশাল
আয়তন - ৯৩.৬৩ বর্গ কিঃমি
জনসংখ্যা - ৩,৮৫৩,০৯৩
সংসদীয় আসন - ৬ টি
পোস্ট - ৮২০০
সাক্ষরতার হার - ৬১.২ %
দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র পলি জমে সৃষ্ট কয়েকটি দ্বীপ বরিশাল।
বরিশাল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর। প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত বাংলাদেশ-এর একটি অন্যতম সুন্দর শহর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশালে একটি নদীবন্দর রয়েছে যেটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।
পূর্বনাম - বাকলা, চন্দ্রদ্বীপ, বাকেরগঞ্জ
বাংলাদেশে বরিশালের অবস্থান
স্থানাঙ্ক - ২২°৪৮′০″ উত্তর ৯০°৩০′০″ পূর্ব / ২২.৮০০০০° উত্তর ৯০.৫০০০০° পূর্ব
পৌরসভা প্রতিষ্ঠা -১৮৭৬
সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা -২০০২
শহর মর্যাদা -2003
কলিং কোড -০৪৩১
নামকরণ
বরিশাল নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই বড় শাল গাছের কারণে (বড়+শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। খাল বিল জলাভূমিতে ভরা বরিশালে যাতায়াতের অসুবিধাকে মাথায় রেখে চালু হয়েছে কথা আইতে শাল যাইতে শাল, তার নাম বরিশাল।
কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে।
বরিশাল নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই বড় শাল গাছের কারণে (বড়+শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। খাল বিল জলাভূমিতে ভরা বরিশালে যাতায়াতের অসুবিধাকে মাথায় রেখে চালু হয়েছে কথা আইতে শাল যাইতে শাল, তার নাম বরিশাল।
কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে।
অন্য এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণের চৌকিকে 'বরিসল্ট' বলতো। অথাৎ বরি (বড়)+ সল্ট(লবণ)= বরিসল্ট। আবার অনেকের ধারণা এখানকার লবণের দানাগুলো বড় বড় ছিল বলে 'বরিসল্ট' বলা হতো । পরবর্তিতে বরিসল্ট শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামে পরিচিতি লাভ করে।
জনসংখ্যা
বরিশাল মেট্রোপলিটন শহরে বসবাসরত জনসংখ্যা ২১০,৩৭৪ জন। মহানগরীয় অঞ্চলে বসবাসরত জনসংখ্যা ৩,৮৫৩,০৯৩ জন। । বরিশাল মসজিদ এর সংখ্যা ১৫০, চার্চ এর সংখ্যা ৫, মন্দিরের সংখ্যা ২০-র উপর।
শহরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা:
এছাড়াও রয়েছে ঐতিহ্যবাহী "ফ্লোটিং মার্কেট" যা ভাসমান পেঁয়ারা বাজার নামেও পরিচিত। রয়েছে ভাসমান চালের বাজার।
বিবিচিনি শাহী মসজিদ, সোনারচর, লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা, রাখাইন এলকা, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, রামমোহনের সমাধি মন্দির, সুজাবাদের কেল্লা, এক গম্বুজ মসজিদ, সাড়ে তিন মণ ওজনের পিতলের মনসা।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, মনপুরা দ্বীপ।
সুজাবাদের কেল্লা, ঘোষাল রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, নুরুল্লাপুর মঠ, সাতুরিয়া জমিদারবাড়ি, জীবনানন্দ দাশের মামাবাড়ি, কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি
কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, মিঠাপুকুর, কানাইবালাই দীঘি, কমলা রানীর দীঘি, নুরাইনপুর রাজবাড়ি, শাহী মসজিদ।
রায়েরকাঠি জমিদারবাড়ি, প্রাচীন মসজিদ, মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পাড়েরহাট জমিদারবাড়ি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
জনসংখ্যা
বরিশাল মেট্রোপলিটন শহরে বসবাসরত জনসংখ্যা ২১০,৩৭৪ জন। মহানগরীয় অঞ্চলে বসবাসরত জনসংখ্যা ৩,৮৫৩,০৯৩ জন। । বরিশাল মসজিদ এর সংখ্যা ১৫০, চার্চ এর সংখ্যা ৫, মন্দিরের সংখ্যা ২০-র উপর।
শহরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা:
- বিবির পুকুর
- বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)
- অশ্বিনী কুমার টাউন হল,
- বরিশাল জিলা স্কুল,
- বিভাগীয় যাদুঘর (কালেক্টরেট ভবন),
- ব্রজমোহন কলেজ,
- শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
- জামে কশাই মসজিদ,
- এবাদুল্লাহ জামে মসজিদ,
- অক্সফোর্ড মিশন এপিফানী গির্জা,
- ব্যাপ্টিস্ট মিশন গির্জা,
- সেইন্ট পিটার চার্চ,
- বাংলাদেশ ব্যাংক,
- লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি ,
- নারিকেল বাগান,
- শঙ্কর মঠ,
- কীর্তনখোলা নদী,
- বরিশাল নদী বন্দর,
- মুক্তিযোদ্ধা পার্ক,
- ত্রিশ গোডাউন পার্ক, বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধ
- কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি ও গ্রন্থাগার
- প্লানেট পার্ক,
- পদ্ম পুকুর,
- স্বাধীনতা পার্ক,
- মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান পার্ক,
- চারণ কবি মুকুন্দ দাস কালী মন্দির ,
- বাইতুল আমান জামে মসজিদ,
- বরিশাল মহাশ্মশান,
- চাখার শেরে বাংলা যাদুঘর,
- কড়াপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ।
এছাড়াও রয়েছে ঐতিহ্যবাহী "ফ্লোটিং মার্কেট" যা ভাসমান পেঁয়ারা বাজার নামেও পরিচিত। রয়েছে ভাসমান চালের বাজার।
বিবিচিনি শাহী মসজিদ, সোনারচর, লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা, রাখাইন এলকা, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, রামমোহনের সমাধি মন্দির, সুজাবাদের কেল্লা, এক গম্বুজ মসজিদ, সাড়ে তিন মণ ওজনের পিতলের মনসা।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, মনপুরা দ্বীপ।
সুজাবাদের কেল্লা, ঘোষাল রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, নুরুল্লাপুর মঠ, সাতুরিয়া জমিদারবাড়ি, জীবনানন্দ দাশের মামাবাড়ি, কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি
কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, মিঠাপুকুর, কানাইবালাই দীঘি, কমলা রানীর দীঘি, নুরাইনপুর রাজবাড়ি, শাহী মসজিদ।
রায়েরকাঠি জমিদারবাড়ি, প্রাচীন মসজিদ, মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পাড়েরহাট জমিদারবাড়ি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
- জীবনানন্দ দাশ, রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি;
- আবুল কাশেম ফজলুল হক;
- রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস;
- হানিফ সংকেত;
- স্পীকার আঃ জব্বার খান;
- স্পীকার আব্দুল ওহাব খান;
- উৎপল দত্ত ,
- কবি আহসান হাবীব;
- বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর;
- মেজর এম এ জলিল, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার;
- বিপ্লবী দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ;
- চারণ কবি মুকুন্দ দাস;
- অশ্বিনীকুমার দত্ত;
- অমৃত লাল দে;
- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ;
- কবি সুফিয়া কামাল;
- কবি কুসুমকুমারী দাশ;
- কবি কামিনী রায়;
- সরদার ফজলুল করিম;
- আবদুল জব্বার;
- আবদুল লতিফ;
- কবি আসাদ চৌধুরী;
- অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী;
- কবি মোজাম্মেল হক;
- বিমল সেন সাহিত্যিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী;
- আবদুল গাফফার চৌধুরী;
- খান বাহাদুর হাশেম আলী খান;
- সৈয়দ হাতেম আলী;
- ব্রিটিশ বিরোধী কৃষক নেতা ও শহীদ রহিমউল্লা;
- সশস্ত্র ব্রিটিশ বিরোধীে বিপ্লবী বলখী শাহ;
- ঔপন্যাসিক অমরেন্দ্র ঘোষ;
- রাজনীতিবীদ আমির হোসেন আমু;
- শাহরিয়ার নাফীস (ক্রিকেটার);
- অভিনেতা মোশাররফ করিম;
- কাদম্বিনী গাঙ্গুলী; ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ২ জন মহিলা স্নাতকের একজন এবং ইউরোপীয় চিকিৎসা শাস্ত্রে শিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা চিকিৎসক;
- শশিভূষণ দাশগুপ্ত (১৯১১-১৯৬৪) লেখক, অধ্যাপক, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সমালোচক ও সাহিত্যিক;
- বরুণ সেনগুপ্ত (জানুয়ারি ২৩, ১৯৩৪-জুন ১৯, ২০০৮) একজন ভারতীয় সাংবাদিক।
উল্লেখযোগ্য নদী
মেঘনা, লোহাদিয়া-গলাচিপা-রামনাবাদ, তেঁতুলিয়া, বলেশ্বর, বিষখালী,পায়রা-বুড়িশ্বর,শাহবাজপুর
আডিয়াল খাঁ,নয়া ভাঙ্গানী, কীর্তনখোলা,হিজলা, কচা, নীলগঞ্জ,আন্ধারমানিক,চাওড়া,
ছবিপুর-লতা-টরকী, কালিজিরা,সন্ধ্যা,উজিরপুর,লাউকাঠী,
বিঘাই,আঙ্গারিয়া,চাকামইয়া,খাকদোন, দরিচর,কাজল আয়লা ইত্যাদি।
বরিশাল সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য
বাংলার শস্য ভান্ডার বরিশাল একদা ‘এগ্রিকালচারাল ম্যানচেস্টার' হিসেবে পরিচিত ছিল।
বরিশালের আমড়া, মহিষে দধি নামকরা
ঝালকাঠির লবন, গামছা, গুনাইবিবির পালা, সুপারি, কাঠবাদম তো আছেই।
বরিশালে তিন পিঠা, মুইড্ডা পিঠা, কাছাড়ি পিঠা, লাই পিঠা, ইলিশ পিঠা ইত্যাদি বহু পদের পিঠা তো রয়েছেই।
বালাম, আউশ, আমন চাল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত বরিশাল।
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় সার্কাস পার্টি "দ্যা লক্ষন দাস সার্কাস পার্টি" আমাদের
বরিশালের।
বাংলাদেশের যাদু সম্রাট জুয়েল আইচ বরিশালের সন্তান।
বরিশালই বিভাগের সাথে কোন বর্ডার সংযুক্ত নাই।
কোস্টগার্ডের একমাত্র ট্রেনিং সেন্টার যা বরিশাল পটুয়াখালীতে অবস্থিত।
মধ্য যুগীয় বিশিষ্ট কবি " মনসা মঙ্গল" কাব্যের রচিয়তা কবি বিজয় গুপ্ত আমাদের বরিশালের আগইলঝাড়ার।
ভারতের বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী , আমাদের বরিশালের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া।
চলচিত্রের সিংহ পুরুষ খলনায়ক ওয়াশিমুল বারী রাজীব , তার বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকীতে।
বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম সমুদ্রর বন্দর বরিশালের পায়রা নদীতে আর ২য় বৃহত্তম নদী বন্দর কীর্তনখোলা নদীতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড় লঞ্চ গুলো বরিশালের।
দেশের খাদ্যশস্য ও মৎস্য উৎপাদনের অন্যতম মূল উৎস বরিশাল।
সাঁতার , নৌকা বাইচ অতিথি আপ্যায়নের জন্য বরিশালের মানুষ সেরা।
তথ্যসূত্র - (উইকিপিডিয়া)
- তৌকির আহমেদ তানভীর
ভারতের বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী , আমাদের বরিশালের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া।
চলচিত্রের সিংহ পুরুষ খলনায়ক ওয়াশিমুল বারী রাজীব , তার বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকীতে।
বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম সমুদ্রর বন্দর বরিশালের পায়রা নদীতে আর ২য় বৃহত্তম নদী বন্দর কীর্তনখোলা নদীতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড় লঞ্চ গুলো বরিশালের।
দেশের খাদ্যশস্য ও মৎস্য উৎপাদনের অন্যতম মূল উৎস বরিশাল।
সাঁতার , নৌকা বাইচ অতিথি আপ্যায়নের জন্য বরিশালের মানুষ সেরা।
তথ্যসূত্র - (উইকিপিডিয়া)
- তৌকির আহমেদ তানভীর
৫ম ব্যাচ , আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগ

Comments
Post a Comment